গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সব ফাঁকা আসন পূরণ করা হবে শীঘ্রই বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য জানাান উপাচার্য। উপাচার্য বলেন, গুচ্ছের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের দিকে শিক্ষার্থীদের নজর রাখতে হবে। ওয়েবসাইটের সকল তথ্য অফিসিয়াল। ওয়েবসাইটে যেইসব দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে সেদিকে নজর রাখুন সবাই।
এরমধ্যে গুচ্ছের ফাঁকা আসনগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁকা থাকা আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন মেধাতালিকায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি হয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও তাঁদের পছন্দের তালিকায় থাকা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন। এখন পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ১০০ আসন ফাঁকা রয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির অনলাইনে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় অংশ নেওয়া কয়েকজন উপাচার্য সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে শিক্ষার্থী ভর্তিপ্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।
গত বছরেও ফাঁকা আসনে ভর্তি নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি জানিয়েছিলেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
আসন ফাঁকা না রাখার বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও মতামত দেন। এবার আসন ফাঁকা না রাখার বিষয়ে পরিকল্পনা নিল কেন্দ্রীয় ভর্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ বিষয়ে গুচ্ছভর্তি-সংক্রান্ত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
