জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার সময় মাথায় সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত আনিসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে গ্রন্থাগারের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ফ্যান ভেঙে পড়ে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার পরপরই এক আলোচনা সভায় সকল পুরাতন ফ্যান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংস্কারের জন্য আগামী ৩-৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফারজানা নিপা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লাইব্রেরির সিলিং ফ্যানগুলো সংস্কার করা হয় না। আমার এবং পাশে বসা এক ভাইয়ের মাঝখানে ফ্যানটি ভেঙে পড়েছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। মাত্র কয়েক সেন্টিমিটারে ব্যবধানে আমি বেঁচে গেছি নয়তো আমার ওপরেও পড়তে পারতো। ফ্যানগুলো যদি সংস্কার করা না হয় তাহলে এভাবে আরো অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত পুরাতন ফ্যানগুলোর সংস্কার করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান শুভ বলেন, দুপুরে সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে একজন ভাই আহত হয়েছেন, আর অল্পের জন্য ফ্যানের নিচে থাকা দু’জন ভাই-বোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ফ্যান খুলে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না। যে ফ্যান পড়েছে ওখানে নতুন করে লাগিয়ে দিবে, বাকি যেসব লম্বা লোহার পাইপ দিয়ে ঝুলানো রয়েছে ওগুলো পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না সেটা চেক করে না। ফলে মাঝেমধ্যেই এই ফ্যান খুলে পড়ে।’
তিনি আরো বলেন, ফ্যানগুলো চেক করার জন্য দুই মাস আগেই কিছু শিক্ষার্থী আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু যারা দায়িত্বে আছেন তারা এমন আবেদনপত্রের ব্যাপারটি অস্বীকার করছেন। এভাবে চলতে থাকলে আরো শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, আসলে ১৯৮৬ সালে এই ফ্যানগুলো লাইব্রেরিতে লাগানো হয়। সে হিসেবে এগুলো অনেক পুরাতন। ফ্যান পরিবর্তন করাসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা প্রকৌশল অফিসে কয়েকবার চিঠি দিয়েছি, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আজকের দুর্ঘটনা ঘটার পর আমি লাইব্রেরি সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ২ দিনের মধ্যে ফ্যানগুলো সংস্কার করবো। ফলে আগামী দুইদিন লাইব্রেরি বন্ধ থাকবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা দরকার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত