২৭ মে, ২০২৪ ১৮:১৯

তুচ্ছ ঘটনায় রাবির হলে ভাঙচুর

রাবি প্রতিনিধি

তুচ্ছ ঘটনায় রাবির হলে ভাঙচুর

রাবির হলে ভাঙচুর

তুচ্ছ ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবাসিক হলের গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন ও ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় প্রাধ্যক্ষকেও অপদস্তের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঝামেলার কথা জেনে গেলে আমাকে হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগসহ শিক্ষার্থীরা গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছিল। তখন ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ, ইমরান, মাসুদসহ তাদের অনুসারীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে হল থেকে চলে এসেছি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের কথা জানান তিনি।

প্রাধ্যক্ষ বলেন, ক্যাম্পাসে আন্তহল খেলাধুলা শুরু হচ্ছে। তাই ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ ১৫ জন ও মাসুদ ১৫ জনের তালিকা দেয় এবং তাদের খেলাধুলার পোশাক দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু হলের আবাসিক শিক্ষকরা খেলোয়াড়দের তালিকা তৈরি করেছেন। তাই তাদের পোশাক দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এ ঘটনার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আজকের ঘটনা ঘটতে পারে।

অভিযোগের ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ বলেন, জার্সির জন্য প্রাধ্যক্ষকে কোনো তালিকা দেয়নি। আজকের ঘটনায় আমি সম্পৃক্ত নই। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া ভিন্নখাতে নিতে এমন অভিযোগ তুলছেন তিনি। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে আরেক নেতা মাসুদের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলে ডাইনিংয়ে খাওয়ার সময় খাবারে সিগারেটের অংশ পান এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার জেরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অতিথি কক্ষ ও প্রাধ্যক্ষের কক্ষে ভাঙচুর চালান এবং হলগেটে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। পরে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও সহকারী প্রক্টর ড. জাকির হোসেন ও আল মামুন ঘটনাস্থলে যান এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনেন। কিন্তু বিশৃঙ্খলা হলে ছাত্র উপদেষ্টা ফিরে আসেন। তখন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব হলে আসেন। পরে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এসে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনেন এবং দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা চলে যান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে ক্যান্টিন সংকট, ইন্টারনেট সমস্যা, ডাইনিংয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার, টয়লেটের দরজা ঠিক নেই, খেলার সরঞ্জাম নেই, হল অপরিষ্কারসহ নানা সমস্যা। বিষয়গুলো প্রাধ্যক্ষকে জানালেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেই।

এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ইন্টারনেট সমস্যা পুরো ক্যাম্পাসে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় দেখে। অন্য সমস্যাগুলোও প্রতিনিয়ত সমাধান হচ্ছে।

প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের বড় কোনো অভিযোগ নেই। কার খাবারে সিগারেটের অংশ পাওয়া গেছে সেটাও কেউ জানায়নি। হলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ খাবারের মান বৃদ্ধির বিষয়গুলো জানিয়েছে। সেগুলো সমাধানে প্রাধ্যক্ষকের সঙ্গে আমরা কথা বলব।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর