চাইনিজ ব্রিজ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ও চীনের দুই জনগোষ্ঠীকে আরও কাছাকাছি আনতে পারে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে ভাষা ব্রিজ হিসেবে অবদান রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি একটি চীনাভাষী বাংলাদেশি যুবা গোষ্ঠী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন, যাতে তারা বাংলাদেশের কাছে চীনের জানালা এবং চীনের কাছে বাংলাদেশের জানালা হিসেবে কাজ করতে পারে। শুক্রবার মধ্যাহ্নে ঢাকার বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে 'চাইনিজ ব্রিজ' শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস এবং চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষা বিনিময় ও শিক্ষা কেন্দ্রের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় শান্ত-মারিয়াম-হোংহো কনফুসিয়াস ক্লাসরুম আয়োজন করলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষার ২৩তম দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বে মোট নয়জন শিক্ষার্থী 'চীনা সেতু' আন্তর্জাতিক রাউন্ডের টিকিটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
অনুষ্ঠানে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাহ-ই-আলম, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর ড. মো. ওমর ফারুক, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর মি. লি শাওপেং, পাওয়ার চায়না প্রতিনিধি মি. হান কুন, চায়না মিডিয়া গ্রুপ এবং সিনহুয়া নিউজের ঢাকা ব্যুরো চিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির বাংলাদেশি ও চীনা শিক্ষক প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রফেসর শাহ-ই-আলম বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উভয় দেশের তরুণ প্রজন্ম স্ব-স্ব ভাষা চর্চার মাধ্যমে আরো ত্বরান্বিত করবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বাংলাদেশি তরুণদের চীনা ভাষায় পারদর্শী হওয়া এবং চীনকে বোঝা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি 'চীনা ভাষাসেতু' দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, যোগাযোগ এবং সহযোগিতার সেতু হয়ে উঠতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।
দিনের শুরুতে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতামূলক এই প্রতিযোগিতায় একজন শিরোপা, চারজন রানার্স আপ ও তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া আরও তিনজনকে অংশগ্রহণমূলক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ধাপের চ্যাম্পিয়ন পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ট্রফির জন্য চীনে যাবে এবং প্রথম রানার আপও সেখানে দর্শক হিসেবে থাকবেন।
'চীনা সেতু' বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের চীনা ভাষার দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতা বিষয়ক একটি বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, যা চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষা বিনিময় ও শিক্ষা কেন্দ্র দ্বারা আয়োজিত হয়। প্রতিযোগিতাটির দু'টি পর্বে রয়েছে- বিভিন্ন দেশে প্রাথমিক প্রতিযোগিতা এবং চীনে ফাইনাল।
বিডি-প্রতিদিন/শআ