দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেছেন সহপাঠীরা।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে "সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ" ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে সাম্যের ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।
এক মিনিট নীরবতা পালনের পর সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়— ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে, কত প্রাণ হল বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে....’।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাম্যের সহপাঠী ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মশিউর আলম শুভ বলেন, ‘জুলাইয়ের সময় সাম্যের ছিল বেশ ভালো অংশগ্রহণ ছিল। এই সাম্যের মতো সাহসীদের কারণে আজ নতুন দেশ পেয়েছি এই জাতি। অথচ সাম্যের হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে আমরা এখন পর্যন্ত একমত হতে পারিনি। শাহবাগ থানায় আমরা গিয়েছিলাম কিন্তু দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখিনি।’
সাম্যের আরেক সহপাঠী সোহেল রানা সাব্বির বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর আমরা এক ক্লাসরুমে পড়েছি। কখনোই তাকে দেখিনি উচ্চস্বরে কথা বলতে। তার হত্যাকাণ্ডে যেই বিষয়টি আমাদের পীড়া দিয়েছে, সেটি হলো আমরা শিক্ষার্থীরা এক হতে পারিনি। যখন কুয়েট আক্রান্ত হয় কিংবা বড় কোন ইস্যু সামনে আসে, আমরা এক হয়ে প্রতিবাদ জানাই। আমরা কয়েকজন বন্ধু এই কয়েকদিন হন্যে হয়ে বিচারের দাবিতে ঘুরছি, কিন্তু কোন অগ্রগতি দেখছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকলকে অনুরোধ জানাবো, সাম্য হত্যার বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস ও উদ্যান নিশ্চিতে রবিবার সকাল ১১টায় শাহবাগ থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে সকলে অংশ নেবেন বলে এটি আমার প্রত্যাশা।’
এছাড়া শনিবার রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে সাম্যকে স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন ও এক মিনিট নীরবতা পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক