সিলেটের বিশ্বনাথে কুখ্যাত মাদক কারবারী সুহেল মিয়া ও তার সহযোগিদের হামলার শিকার হয়েছেন ৪ পুলিশ সদস্য। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার বৈরাগী বাজারে একটি মামলায় সুহেলকে ধরতে গিয়ে তারা এ হামলার শিকার হন।
সুহেল রামপাশা ইউনিয়নের নওধার (ভিন্নারটেক) গ্রামের মৃত করিম বক্সের পুত্র। হামলার খবর
পেয়ে তাৎক্ষণিক বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ও থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় থানা পুলিশের এসআই সবুজ কুমার নাইডু বাদী হয়ে ওই রাতেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে
এসল্ট মামলা (নং-১০) দায়ের করেছেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫/১৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে জাকির ও কায়সার নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, নওধার পূর্বপাড়া (ভিন্নারটেক) গ্রামের মৃত আহমদ আলী ওরফে ছাবাল শাহ’র মাজারকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে মাদক, জুয়া ও কথিত বাউলশিল্পী নামধারী মেয়েদের দিয়ে দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে তার প্রথমপক্ষের পুত্র আশিক নুর ও নিকটাত্মীয় কুখ্যাত মাদক কারবারী সুহেল মিয়া। এসব কার্যকলাপ বন্ধ করতে ছাবাল শাহ'র দ্বিতীয় পক্ষের একমাত্র মেয়ে
কলেজছাত্রী তাসলিমা আক্তার সুহেল-আশিকসহ ৫ জনের নামোল্লেখ করে থানায় অভিযোগ
দেয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার এটি মামলা (নং-৯) হিসেবে রেকর্ড করা হয়। ওইদিনই মামলার প্রধান আসামি সুহেলকে গ্রেফতার করতে মাত্র ৩জন কনস্টেবল নিয়ে সাদা পোষাকে বৈরাগীবাজারের একটি
হোটেলে অভিযান চালান থানার এসআই সবুজ কুমার নাইডু।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই খোদ সুহেলের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালায় সুরুজ, কামরুল,
আলীনুর, লিলু মিয়া ও মানিক মিয়াসহ তার সহযোগিরা। এসআই নাইডুসহ চার পুলিশকে আহত অবস্থায় অবরুদ্ধ রেখেই পালিয়ে যায় তারা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। সুহেলসহ অন্যান্য হামলাকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে মাঠে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল