সিলেটের গোলাপগঞ্জে রাশেদা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী মুক্তার আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার রাতে রাশেদার বাবা আশরাফ হোসেন বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই মুক্তারকে গ্রেফতার করে। পরে শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাশেদা আক্তার আত্মহত্যা করেছেন এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ওই সময় মুক্তার তার স্ত্রীর আত্মহত্যার কারণ জানেন না বলে পুলিশকে জানান। তিনি নিজেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ‘আত্মহত্যা করা’ রাশেদার ঝুলন্ত মরদেহ নামান বলেও পুলিশের কাছে তথ্য দেন। বিষয়টি নিয়ে দেখা দেয় ধূম্রজাল।
জানা গেছে, মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জে এসে মুক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন আশরাফ হোসেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিয়ের চার বছর হলেও রাশেদা ও মুক্তারের মধ্যে কলহ ছিল। মুক্তার আত্মহত্যা করতে রাশেদাকে প্ররোচিত করেছেন।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘মামলার প্রেক্ষিতে মুক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে রাশেদা আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বলা যাবে।’
প্রসঙ্গত, রাশেদা আক্তারের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার দেলদোহার থানায়। তার স্বামী মুক্তার আহমদের বাড়ি টাঙ্গাইলের সদর উপজেলায়। মুক্তার সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত। এজন্য স্ত্রীকে নিয়ে গোলাপগঞ্জ সদরের ওয়াহাব প্লাজার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন তিনি। তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন