সিলেটের বাতাসে নানা গুঞ্জন সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে। তিনি শুধুমাত্র ‘ভোটের স্বার্থে’ বিএনপিতে আছেন, তিনি ‘আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন’ এরকম নানা কথা শোনা যায়। যদিও মেয়র আরিফ এসব বরাবরই উড়িয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি আরিফকে আওয়ামী লীগে যোগদানের আহবান জানিয়েছিলেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর। ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আলোচনায় সভায় জিল্লুর এও বলেছিলেন, আরিফ বিএনপিতে থেকে আওয়ামী লীগের ‘এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন’।
আরিফকে নিয়ে এই নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে শনিবার (২৩ নভেম্বর) তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান।
এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু তার বক্তব্য নেতাকর্মীদের ‘মন ভরাতে পারেনি’। অন্য নেতারা ঝাঁজালো বক্তব্য রাখলেও আরিফ নিজের বক্তব্য শেষ করেন দ্রুত। প্রায় দেড় মিনিটের মধ্যেই বক্তব্য শেষ করে দেন তিনি।
বক্তব্যে আরিফ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এমন কর্মসূচি দেন, যাতে নেত্রীর মুক্তি হয়।’ তার বক্তব্যে উল্লেখ করার মতো আর কিছু ছিল না।
আরিফ বক্তব্য শেষ করার পরপরই কর্মসূচিতে থাকা নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচিতেও আরিফ সুবিদাবাদী ভূমিকা নিলেন। তিনি সরকারের সু-নজরে থাকতে সরকারের বিরুদ্ধে একটি কথাও বললেন না। অথচ বর্তমান সরকারই খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আটকে রেখেছে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার