সিলেটের বিশ্বনাথে মুক্তার মিয়া (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের একপক্ষের দাবি, বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে মুক্তার মিয়া। অপরপক্ষ বলছে, বিষ খাইয়ে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত মুক্তার উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের আব্দুল গণির পুত্র ও স্থানীয় পনাউল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৫ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের জনক মুক্তার মিয়া বছরখানেক পূর্বে তার স্ত্রী রাহেনা বেগম মারা গেলে গ্রামের বিধবা জেসমিন বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে মুক্তার-জেসমিনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়। বুধবার সকালেও মুক্তার-জেসমিনের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর বাড়ি থেকে স্থানীয় পনাউল্লাহ বাজারের দোকানে চলে যান তিনি। ফেরেন রাত ১২টার দিকে।
মুক্তার মিয়ার পিতা আব্দুল গণি বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তারের বসতঘরের সামনে তার গুঙানির শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে সে বিষপান করেছে বলে জানায়। আমার ছেলে তার স্ত্রী-সন্তানদের সাথে অভিমান করে নিজেই বিষপান করে মারা গেছে। তাকে কেউ বিষপান করায়নি।
মুক্তার মিয়ার প্রথমপক্ষের ছালেখ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার ফুফু ও সৎমার সঙ্গে ইউপি সদস্য সাইদুর রহমানের অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তিনি এবং আমার চাচা বাবুল মিয়া, সেবুল মিয়া, ফুফু রাজনা বেগম ও সৎ মা জেসমিন বেগম সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পতিভাবে আমার পিতা মুক্তার মিয়াকে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, মুক্তার মিয়া বা তার পরিবারের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুক্তার মিয়া বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে এখনো আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ