দেশের শীতল অঞ্চল হিসেবে পরিচিত চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে জেঁকে বসেছে শীত। আবহাওয়া অফিস রবিবার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই শ্রীমঙ্গলে শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এমন হিমশীতল তীব্রতায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষদের জীবন। চাদরসহ গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণে চেষ্টা করে চলেছেন তারা। তবে সূর্যের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত অপেক্ষাকৃত কম অনুভূত হচ্ছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা বাগানগুলোতে শীতের তীব্রতা তুলনামূলক বেশি।
এদিকে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই চলমান তাপমাত্রা আরও নেমে হাঁড় কাপানো শীত আসবে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী জাহেদুল ইসলাম মাসুম বলেন, রবিবার শ্রীমঙ্গলে তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
তিনি বলেন, এ তাপমাত্রা আরও কমার কথা রয়েছে। কমে আরও দু’তিন দিন একই রকম থাকার কথা। এছাড়া, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর আবার তামমাত্রা কমে বাড়বে শীতের তীব্রতা।
তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলো ‘মৃদু শৈত্যপ্রবাহ’। ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে এটা ‘মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ’। ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে ‘তীব্র শৈত্যপ্রবাহ’। এমন তথ্য জানান আবহাওয়া সহকারী জাহেদুল ইসলাম।
সকালে ভাড়াউড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা জড়ো হয়ে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতার উত্তাপ নিচ্ছেন। শুধু বয়স্করাইও নয়, অংশ নিয়েছে শিশুরাও। একই বাগানের অপর লাইনে গিয়ে দেখা যায়, শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরুর গায়ে বস্তা জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি মেলে একটু উষ্ণতা!
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত