তৃতীয় দফা বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেটের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছেন গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়ায় বন্যাকবলিত এলাকার নিম্ন আয়ের অস্বচ্ছল পরিবারগুলোতে চলছে হাহাকার। দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবেতর জীবনযাপন করা অসহায় প্রান্তিক এই মানুষের পাশে মানবিক সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ।
করোনা সংকটকালীন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য উপহার নিয়ে দাঁড়িয়েছিল সিলেট জেলা পুলিশ। ঠিক একইভাবে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের প্রশংসা ও আস্থা কুড়াচ্ছে তারা। গত কয়েকদিন ধরে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন পিপিএম তার ‘মানবিক দল’ নিয়ে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শনিবার কোম্পানীগঞ্জ ও রবিবার গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যাকবলিত দরিদ্রপীড়িত এলাকায় ছুটে যান তিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি পৌঁছে দেন খাদ্য উপহার। খাদ্য উপহারসহ পুলিশ সুপারকে কাছে পেয়ে এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেক অসহায় নারী-পুরুষ। খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন সবাইকে করোনার এই কঠিন সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বিশেষ করে বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধানের পরামর্শ দেন। তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক ও শিশুদের মধ্যে চকলেটও বিতরণ করেন।
মানবিক সহায়তা কার্যক্রম প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, ‘করোনার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ এমনিতেই কষ্টের মধ্যে আছে। তার মধ্যে বন্যা তাদের কষ্ট ও দুর্ভোগ অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের এই কঠিন সময়ে শুধুমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালনে আমাদের নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই সিলেট জেলা পুলিশ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও এরকম কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা হবে।’
মানবিক এ কার্যক্রমে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার (গোয়াইনঘাট সার্কেল) নজরুল ইসলাম পিপিএম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার