সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দাখিলকৃত দুটি মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন আদালত। চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারের জন্য দুটি মামলার আদালত পরিবর্তন করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলা দুটির সকল আসামি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
জানা গেছে, এমসি কলেজে গণধর্ষণ এবং মারধর ও চাঁদাবাজির মামলা দুটির চার্জশিট ইতিমধ্যে আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। দুটি চার্জশিটই গ্রহণ করেন আদালত। পরে গত ৩ ডিসেম্বর গণধর্ষণ মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এবং ২৭ ডিসেম্বর চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য বদলি করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান। এছাড়া অস্ত্র আইনের মামলাটির চার্জশিট পর্যালোচনার জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে রাখা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতর একটি প্রাইভেটকারের মধ্যে স্বামীকে বেঁধে রেখে মারধর করে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানায় মামলা করেন।
পরে মামলাটি ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনায় দুইভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া গণধর্ষণের রাতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করে।
গণধর্ষণের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- তারেকুল ইসলাম তারেক, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান মাসুম, মিসবাহ উর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিন। এর মধ্যে রাজন ও আইনুদ্দিন ছাড়া অপর ছয়জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই