সিলেটে ভয়াবহ আকারে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। বেপরোয়া চালকদের অনিয়ন্ত্রিত গাড়িচালনা, চালকদের অদক্ষতা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা, সড়ক নির্মাণে ত্রুটি এবং জনসাধারণের অসচেতনতাসহ দুর্ঘটনার মোট ১৫টি কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে পর্যবেক্ষকদের দাবি। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট মহানগরীর একই সড়কে একই রাতে ঘটেছে দুটি দুর্ঘটনা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিন জন।
এর আগে গত এক সপ্তাহে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর রাতে ব্যাটারি চালিত টমটমের চাপায় এক নৈশপ্রহরী (নাইট গার্ড) নিহত হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট বিভাগে গত এক বছরে (২০২০) ১৮৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় নারী,পুরুষ, শিশুসহ ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩৯৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৯ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলায় ২১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় ৪৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলায় ৭৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৪ জন নিহত ও ২১৫ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষকরা ১৫টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। সেগুলো হচ্ছে- বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ, ছোট যানবাহন বৃদ্ধি, সড়কে চাঁদাবাজি, রাস্তার পাশে হাট-বাজার ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার