থানা মানে পুলিশ, অস্ত্র, হাজত, অভিযোগ, নথিপত্র ইত্যাদি জটিল বিষয়ের সমষ্টিগত কার্যালয়ের নাম।
বিপদগ্রস্ত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল থানা। থানায় কখন মানুষ আসেন? কোন অবস্থার পরিপেক্ষিতে থানায় আসেন বিচার প্রার্থী জনগণ। যখন ন্যায় বিচারের প্রথাগত সকল দোয়ার বন্ধ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তখনই কেবল বাধ্য হয়ে থানায় এসে প্রার্থী হন সাধারণ মানুষ।
অনেকেই মনে করেন, ইট পাথরের গড়া এই জায়গাটি ভয় আর জটিল সমীকরণের। কাজেই প্রয়োজন ছাড়া থানা প্রাঙ্গনে আসতে চান না সাধারণ মানুষ। ফলে পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
জনগণ ও পুলিশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা পুলিশ ও জনতার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করছে।
পুলিশ বিভাগের কিছু দক্ষ, মেধাবী, সংস্কৃতিমনা, সৃজনশীল কর্মকর্তাদের ভিন্নধর্মী কর্মকাণ্ড আইনের রক্ষক পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।
ফুল বন্ধুত্বের অন্যতম নিদর্শন। ফুল পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আর এই ফুলের বাগান যদি হয় থানা প্রাঙ্গণ। অর্থাৎ বন্দুকের নলে ফুলের খেলা। ফুলের সৌন্দর্যে মোহিত হন থানায় আসা বাদী-বিবাদীসহ প্রয়োজনে আসা জনসাধারণ মানুষ।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহসানের প্রচেষ্টায় থানা প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা হয়েছে লাল, গোলাপী, হলুদসহ বাহারি রঙের বিভিন্ন জাতের ফুলের বাগান। থানার সম্মুখে গড়ে তোলা এই দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান সদর থানার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। বিচারপ্রার্থী জনগণ ছাড়া কারণে অকারণে বাগান দেখতে আসছেন ফুলপ্রেমী মানুষজন। আইনী সেবা কেন্দ্রের এমন মনোহারিতায় শহরজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন ওসি সহিদুর।
মননে মগজে ফুলের সুশ্রী ধারণ করে আইনে সেবা প্রদানে প্রত্যয় জানালেন ওসি।
বিচার পার্থী জনগণের প্রশান্তি লাভে থানা প্রাঙ্গনে বাগান গড়ার কথাও জানান তিনি।
সদর থানার ওসি বলেন, সাধারণ জনগণ থানাকে একটু অন্যভাবে দেখেন। আমি মনে করি পুলিশ জনগণের বন্ধু। থানা প্রাঙ্গনে ফুলের বাগন হলো পুলিশ ও জনতার বন্ধুত্বের নিদর্শন। যার মাধ্যমে বিচার প্রার্থী জনগণ প্রশান্তি লাভ করতে পারবেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত