সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিনেও রাস্তায় কঠোর ছিল পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া যারা গাড়ি, মোটরসাইকেল, ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের নামিয়ে দিয়েছে। আইন ভঙ্গ করায় যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলাও দিতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতেও রাস্তায় পুলিশ কঠোর ভূমিকা নিয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কম থাকলেও বাজারগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধিও ছিল উপেক্ষিত।
শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় জুমার নামাজের আগে সিলেট নগরীর রাস্তাঘাট এমনিতেই অনেকটা ফাঁকা থাকে। আর লকডাউনের কারণে শুক্রবার রাস্তাঘাট যান ও জনশূন্য ছিল। কিন্তু জুমার নামাজের পর রাস্তাঘাটে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফুটপাতেও হকাররা বসা শুরু করেন। ভিড় জমতে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও কাঁচাবাজারে।
সবজি কিনতে নগরীর ব্রহ্মময়ীবাজার, লালবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, রিকাবিবাজার ও সিলেট প্রধান ডাকঘরের সামনের রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে কাঁচাবাজার চালু থাকার কথা থাকলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষকে বাজার করতে দেখা যায়।এদিকে, নগরীর বিভিন্ন স্থানে দোকানোর অর্ধেক সার্টার খুলে ব্যবসা করতেও দেখা গেছে। নগরীর মহাজনপট্টি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানের সার্টার খোলা। ক্রেতারা ‘নক’ করলেই অর্ধেক সার্টার খুলে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকবার পুলিশ এসে দোকান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গেলেও ব্যবসায়ীরা তা মানেননি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ