সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ ও হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন ভুইয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রায় পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ওই দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা শুরু করারও নির্দেশ দেয়া হয়। রায়ে আইনসচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনার পর সমালোচনার মুখে পড়েন কলেজ অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপার। এই অবস্থায় আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের পেছনে হোস্টেল সুপার ও প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে ওই কলেজের অধ্যক্ষও কোনোভাবে দায় এড়াতে পারেন না।’
এর আগে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকা থেকে স্বামীসহ এক তরুণীকে তুলে নিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার ৮ আসামির সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারান্তরিণ রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল