ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’। ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার রাতে স্থলভাগে আঘাত হানার আগে সুপার টাইফুনে পরিণত হতে পারে। এসময় পাঁচ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস এবং ধ্বংসাত্মক ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওয়ং ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার (৯৩২ মাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হবে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যেই ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি ও দমকা হওয়া বইছে। আবহাওয়াবিদ বেনিসন এসতারেজা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এটি প্রায় পুরো দেশজুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে।
এর আগে, কালমেগির আঘাতে ফিলিপাইনে ২০৪ জন এবং ভিয়েতনামে ৫ জন নিহত হয়েছে। হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ব্যাপক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ভিয়েতনামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে ২ হাজার ৮০০টির বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষ এখনো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ফিলিপাইনে প্রচণ্ড বন্যা ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে এবং রাস্তাঘাটে ধ্বংসাবশেষ জমে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্স প্রশান্ত মহাসাগরের টাইফুন বেল্টের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে ঘূর্ণিঝড় ও ট্রপিক্যাল ঝড়ের ঝুঁকিতে থাকে এবং প্রতি বছর ঝড়ের মৌসুমে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। থাইল্যান্ডেও কালমেগির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে ভারি বৃষ্টি ও স্থানীয় বন্যা দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে কালমেগির মতো ঘূর্ণিঝড়গুলো আরো শক্তিশালী ও বিধ্বংসী হয়ে উঠছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ