আবারও পেছাল ব্লগার অন্তত বিজয় দাশ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার অন্যতম আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে নিয়ে আসা সম্ভব না হওয়ায় মঙ্গলবার স্বাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আদালতে তিন স্বাক্ষী উপস্থিত থাকলেও ফারাবিকে হাজির করতে না পারায় স্বাক্ষ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন সিলেট সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল আমিন বিপ্লব।
১৯ জানুয়ারি স্বাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন তিনি। স্বাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন।
তিনি জানান, ফারাবি ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে বন্দি। মঙ্গলবার তাকে সিলেট আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই মামলার স্বাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী, পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ সিদ্দিকী ও উপ পরিদর্শক সুহেল রানা আদালতে উপস্থিত থাকলেও তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেননি বিচারক। তিনি জানান, মামলার ২৯ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ইতোমধ্যে ২০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলে মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় আরও গতি আসতো।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১২ মে সকালে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় নগরীর সুবিদবাজার নুরানী আবাসিক এলাকার দস্তিদার দীঘিরপাড়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। সে রাতেই সিলেটের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন অনন্ত বিজয় দাশের ভাই রত্নেশ্বর দাশ। মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রথমে থানাপুলিশের কাছে থাকলেও পরে তা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত পুণঃতদন্তের নির্দেশ দেন। পরে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পুরক অভিযোগপত্র দিলে আদালত তা গ্রহণ করেন।
অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমেদকে। এদের মধ্যে ফারাবী ও আবুল খায়ের জেলে। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর কারান্তরিণ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে মারা যান মান্নান। আর মামলার বাকি ৩ আসামি এখনও পলাতক।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
