চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সিলেট জেলার দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল করতে পারেননি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে নৌকা প্রতীকের। বিপরীতে দাপট দেখিয়েছেন স্বতন্ত্রের ব্যানারে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও জামায়াত সমর্থকরা। দলীয় প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও ভাল ফলাফল করতে পারেননি তারা।
সিলেটের বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৭টিতে। এছাড়া বাকি ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে স্বতন্ত্রের ব্যানারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৪টিতে, বিএনপি ৩টিতে, জামায়াত ৪টিতে বিজয়ী হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির একজন ও এক প্রবাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বিয়ানীবাজারে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন- আলীনগরে আওয়ামী লীগের আহবাবুর রহমান খান শিশু, চারখাইয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হোসেন মুরাদ চৌধুরী, দুবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রবাসী জালাল আহমদ, শেওলায় আওয়ামী লীগের জহুর উদ্দিন, কুড়ারবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তুতিউর রহমান তোতা, মাথিউরায় আওয়ামী লীগের মো. আমান উদ্দিন, তিলপাড়ায় বিএনপির মাহবুবুর রহমান, মোল্লাপুরে বিএনপির আবদুল মান্নান, মুড়িয়ায় জামায়াতের ফরিদ আল মামুন ও লাউতায় জামায়াতের দেলোয়ার হোসেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বাঘায় আওয়ামী লীগের আবদুস সামাদ, গোলাপগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের তমজ্জুল আলী, লক্ষ্মীপাশায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাহতাব উদ্দিন জেবুল, ঢাকাদক্ষিণে জামায়াতের এম আবদুর রহিম, লক্ষ্মণাবন্দে জাতীয় পার্টির খলকুর রহমান, ভাদেশ্বরে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ, আমুড়ায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, বাদেপাশায় জামায়াতের জাহিদ হোসাইন ও শরীফগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এম. কবির উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
সিলেট বিভাগের ৮২টি ইউনিয়নে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেটের প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ছিল উৎসবের আমেজ। নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর