হবিগঞ্জে নারী নির্যাতন মামলা করার কারণে এক নারীকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর ও অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাঁচ নারী আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে তারা আদালতে জামিন চাইলে হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট কাঁকন দে নামঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন- রিনা আক্তার, তার মেয়ে মিনা আক্তার, পান্না আক্তার, সাহেদা আক্তার ও লুবনা আক্তার।
হবিগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ মামলায় পুলিশ এর আগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার ৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠান আদালত। এছাড়াও এই মামলার অন্য তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার বাদী ছালেক মিয়া জানান, তার বোন সম্প্রতি সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বামী কাউছার মিয়ার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। এর জেরে গত ৭ জুলাই হবিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে মাধবপুর যাওয়ার পথে পাইকপাড়ায় ওই পাঁচ নারী যাত্রীবেশে বাসে উঠে তার বোনকে মারধর করে জোরপূর্বক বাস থেকে নামিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান। ঘটনার সময় কেউ একজন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, যা পরে ভাইরাল হয়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, স্বামী কাউছার মিয়া পরকীয়ায় জড়িয়ে এবং যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। পরে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করলে প্রতিশোধ নিতে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটায় কাউছার মিয়াসহ তার লোকজন। ভুক্তভোগী নারী মাধবপুর উপজেলার হরিতলা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর কন্যা। কারাগারে যাওয়া নারীরা কাউছার মিয়ার নিকটাত্মীয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ