চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আব্দুল্লাহ আল হাছান (৬৪) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সোমবার ভোরে নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাউজান পৌরসভার সাবেক মেয়র মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
জানা যায়, রবিবার গভীর রাতে নগরীতে নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ভোরের দিকে তিনি মারা যান। সোমবার বেলা ৩টায় তার মরদেহ নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আসরের নামাজের পর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ রাউজানে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পশ্চিম গহিরা বায়তুননূর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আবদুল্লাহ আল হাছানের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তার মতো একজন ত্যাগি নেতা চলে যাওয়ায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা শোকাহত।
কাজী আবদুল্লাহ আল হাছানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শোকবার্তায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, মরহুম কাজী আবদুল্লাহ আল হাছান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি-কে সুসংগঠিত করতে যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা দলের নেতাকর্মীরা চিরদিন মনে রাখবে। একজন বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতা হিসেবে দলের সকল কর্মসূচিতে মরহুম কাজী আবদুল্লাহ আল হাছান সোচ্চার ও নির্ভিক ভূমিকা পালন করেছেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তিনি এলাকার উন্নয়নে যে দায়িত্ব পালন করেন তা এলাকাবাসী চিরদিন স্মরণ করবে। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি-কে শক্তিশালী, গতিশীল ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি একজন দক্ষ, কর্মনিষ্ঠ ও শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে নিবেদিতপ্রাণ বলিষ্ঠ সংগঠককে হারালো। আমি তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন