চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত মামলার আরও ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম তানিয়া কামাল ১৫ বছর আগের এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে জানান অতিরিক্ত জেলা পিপি একেএম নূরুল আহসান।
তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামি আবদুর সবুরকে আদালত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আরও ৯ আসামি খালাস পেয়েছেন। তবে দণ্ডিত আবদুস সবুর জামিনে গিয়ে বর্তমানে পলাতক আছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ কাথারিয়া মাঝির পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুর সবুরের সঙ্গে প্রতিবেশী মোজাহের আহমেদের ভাগ্নে মফিজের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আবদুর সবুর এলাকার আরও কয়েকজন সঙ্গে নিয়ে মোজাহেরের বাড়িতে মফিজকে মারতে যান। মোজাহের ঘর থেকে বের হলে সবুর তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। মোজাহেরের পেছনে ছিলেন তার স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম। সবুর গুলি ছোঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামনে থেকে মোজাহের বসে যান। পেছনে থাকা দিলোয়ারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এই ঘটনায় মোজাহের বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শেষে পুলিশ ১১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আদালতে বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে। মামলার বিচার চলাকালীন এক আসামি মারা গেলে তাকে বিচার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা