সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে মাইকের সামনে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতৃমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কাব্যিক দ্যোতনায় শুরু করেন তার বক্তব্য। শুরুতেই সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের। বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলেটে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি জানান, ৬২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ভোলাগঞ্জ-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের কাজ ইতোমধ্যেই ৪০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সিলেট ঢাকা মহাসড়ক ৪ লেনের ব্যাপারেও আশার কথা শুনান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০ হাজার কোটি টাকায় যদি আমরা নিজেরা পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পারি, তবে ১০ হাজার কোটি টাকায় নিজেরা অবশ্যই সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ৪ লেনের রাস্তা তৈরি করতে পারব।
ওবায়দুল কাদের বর্তমান সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ইউনিয়নে ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার, ১৬ কোটি মানুষের হাতে ১৪ কোটি মোবাইল, বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই-এ সকলই বর্তমান সরকারের অবদান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার সিলেটকে অন্ধকারে রেখেছিল, মহাজোট সরকার সিলেটকে আলোকিত করেছে। ওবায়দুল কাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট চেয়ে বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে। ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্য শেষ করেন কবিতার ছন্দে- আবার যদি ইচ্ছে করে, আবার আসি ফিরে, দুঃখ-সুখের ঢেউ খেলানো, সুরমা কুশিয়ারার তীরে।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব