চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের হামলায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সংহতি সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। মঙ্গলবার বিকালে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তিন নেতাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া দশজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাদের।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকাল চারটার দিকে পূর্ব ঘোষিত সংহতি সমাবেশে অংশ নিতে চেরাগী পাহাড় মোড়ে জড়ো হয়েছিল প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতারা। আন্দরকিল্লা মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে আসছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। এসময় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে ২০-২৫ জন যুবক হাতে লাঠি নিয়ে ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর ওই যুবকেরা ছাত্রলীগের স্লোগান দিয়ে চেরাগী পাহাড় গলিতে ঢুকে গণমুক্তি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা নাসিরউদ্দিন নাসু, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি ও ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আদিলকে লাঞ্ছিত করে। তাদের বাঁচাতে এসে সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরাও হামলার শিকার হন। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা জামালখান এলাকায় মহড়া দিয়ে ছাত্রজোটের সমাবেশ স্থলে সমাবেশ করে। চেরাগী পাহাড় মোড়ে সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে চলে যায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে একটা মিছিল বের করা হলে সামান্য উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর তারা নিজেরাই ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়। বরং ছাত্রলীগ যাতে কোন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য মিছিল-সমাবেশের সময় তাদের কর্ডন করে রেখেছিল পুলিশ।
ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক আতিক রিয়াদ বলেন, ‘ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে সিপিবি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, ‘ছাত্রলীগের নাম দিয়ে অন্য কেউ হামলা চালিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল