চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বড় কুমিরা বাজারে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে ছেলেকে গুলি করে খুনের মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ আজ বুধবার এই রায় দেন। দণ্ডিতরা হলেন, জামাল উদ্দিন, আলমগীর, মো. লোকমান ও মো. জামাল উদ্দিন। জামিনে গিয়ে বর্তমানে তারা পলাতক আছেন।
অতিরিক্ত জেলা পিপি বি কে বিশ্বাস বলেন, সন্ত্রাসীরা বাবুল ধরের কাছে চাঁদা চাইলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তারা বাবুলকে খুন করতে আসে। কিন্তু বাবুলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারান। ঘটনার পরদিন বাবুল বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে ২০০৬ সালের ২৫ মে চার জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ ১৫ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৮ জুলাই রাত পৌনে ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবুল কান্তি ধর প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় যাবার পথে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে আক্রমণ করে। এসময় বাবুলের চিৎকারে তার বড় ছেলে সুমন কান্তি ধর বাসা থেকে বেরিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সুমনের মৃত্যু হয়।
সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে নিজেকে ছাড়িয়ে বাঁচার জন্য বাবুল লাফ দেন পাশের একটি পুকুরে। চিৎকার-চেঁচামেচি এবং গুলির শব্দ শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার