যুবদল নেতা হারুণ উর রশীদের সাথে থাকা পিস্তল কেড়ে নিয়ে গুলি করে সন্ত্রাসী আলমগীর ওরফে কালা আলমগীর ওরফে শরবত আলমগীর। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া শরবত আলমগীর আদালতে ১৬৪ ধারার জবানন্দিতে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। রবিবার বিকেলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মো. নোমান।
সদরঘাট থানা ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, জবানবন্দিতে শরবত আলমগীর জানিয়েছেন, হত্যকাণ্ডের কিছু দিন আগে আলমগীর এক ট্রাকচালকের কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে হারুণ তাকে ডেকে সেই টাকা ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু এ নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে ঘটনার দিন আলমগীর হারুণকে দোকান থেকে টেনে বের করে তার কোমর থেকে পিস্তল কেড়ে নিয়ে বুকে গুলি করে। এরপর সেজান নামে এক সন্ত্রাসী লোহার পাইপ দিয়ে হারুণের মাথায় আঘাত করে। শরবত আলমগীর গিয়ে হারুনের পেটে ছুরিকাঘাত করে। আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে তাকে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুষি, লাথি মারে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর নগরীর সদরঘাট থানার কদমতলী এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় পরিবহন ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা হারুণ অর রশিদ চৌধুরীকে। হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি নেতারা এ ঘটনার জন্য যুবলীগ-ছাত্রলীগকে দায়ী করে আসছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব