চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯০ জন শিক্ষক-কর্মচারির বদলীর আদেশকে কেন্দ্র করে নানা শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কলেজ ও স্কুলের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলী করলেও কৌশলে কলেজের আদেশ বাতিল করে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আবারও একই স্থানে বহাল রাখা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে স্কুলের এমপিও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে আগামীকাল রবিবার চসিকের শিক্ষক বদলীর পক্ষে-বিপক্ষসহ শিক্ষা বিভাগের নানাবিধ যৌক্তিক বিষয় তুলে ধরার জন্য সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সাথে দেখা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির নেতারাও নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করছেন নানাভাবে। শিক্ষার বিষয়গুলো মেয়র গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন বলেও মন্তব্য করেন অধিকাংশ শিক্ষক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিকাংশ শিক্ষক বলেন, মেয়রের সফলতাকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে কি কারণে একটি চক্র এমপিও শিক্ষকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে। কেনই বা কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক সংকট দেখিয়ে আবারও একই স্থানে সমন্বয় করা হচ্ছে। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে অনেক কিছু বা তথ্য থেকে আড়াল রাখা হচ্ছে মেয়র নাছির উদ্দিনকে। নারী কেলেংকারি চিহ্নিত ও বিতর্কিত কিছু শিক্ষকদের পুনর্বহাল করতে এসব বদলী করা হয়েছে। তাছাড়া সেসব শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতির বিষয়েও বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম রয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানান।
চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চসিক পরিচালিত কলেজে সমন্বয় করতে বদলীর আদেশ দেয়া হলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আবাবও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করবেন। ইতিমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছে শিক্ষক নিয়োগের জন্য। তাছাড়া বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক সংকটে সমন্বয়ও করা হবে বলে তিনি জানান।
চসিক ও স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জনের একটি আদেশ সমন্বয় না করে মেয়রকে বিভ্রান্তকর নানাবিধ তথ্য দিয়ে ৯০ জনের আরেকটি আদেশ জারি করায় শিক্ষকদের মধ্যে নানা ধরণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যা মেয়র নাছির উদ্দিনকে প্রকাশ্যে বলতে সাহস পাচ্ছেন না চসিকের শিক্ষা বিভাগসহ চিহ্নিত কয়েকজনের কারণে। নতুন এ আদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ। চলছে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল পদে যোগদানে সিনিয়র ও জুনিয়র এবং বয়স্ক শিক্ষকদের নানা অভিযোগও। একইভাবে নারী কেলেঙ্কারি ও বির্তকিত শিক্ষকদের একই স্থানে যোগদানকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে নানাবিধ আতঙ্কও রয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/৫ মে ২০১৮/হিমেল