বিশ্বের ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর এখন ৭১তম স্থানে রয়েছে জানিয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট, কন্টেইনার জট ও ইক্যুইপমেন্টের যে সঙ্কট ছিল, আজ থেকে তা আর থাকছে। সেবা ও কাজের গতিতে আগামীতে আমরা ১০ নাম্বারের মধ্যে আসতে চাই।’
আজ বৃহস্পতিবার বন্দরের এনসিটি ৫ নম্বর জেটিতে চীন থেকে আনা ২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার রেলমাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় নৌমন্ত্রী চীন থেকে আনা ৪টি, আরব আমিরাত থেকে আনা ২টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, জার্মানি থেকে আনা ১টি লগ হ্যান্ডলার, ইতালির ২টি ২০ টনের মোবাইল ক্রেনসহ মোট ৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি, রিভারমুরিং জেটি-৩ এবং নিরাপত্তা ভবন উদ্বোধন করেন।
শাজাহান খান বলেন, ‘আগামী ২০২০ সালে বে-টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) অপারেশনে যাবে। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে আমদানি রফতানিতে আরও গতিশীলতা আসবে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, কমডোর খন্দকার আকতার হোসেন, কমডোর শাহিন রহমান, কামরুল আমিন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তারিকুল ইসলাম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু, জুনিয়র চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ মোরশেদ এলিট, সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, বন্দর সিবিএ সভাপতি আবুল মনসুর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রফিউদ্দিন খান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার