চট্টগ্রামে এবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালন করেছেন স্বয়ং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নগরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার রিয়াজ উদ্দিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
এর আগে জেলা প্রশাসনের পাঁচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পাঁচটি টিম নগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছিলেন। অভিযানের শুরুতে মূল্য তালিকা না থাকায় আর রহমান স্টোর নামের মুদি দোকানকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর আদালত ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পণ্যের দাম যাচাই করে। এ সময় পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি কেজি বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা, আলু ১৭ টাকা, গরুর মাংস (হাড় ছাড়া) ৬৫০ টাকা, হাড়সহ ৫০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪২০ টাকা, সোনালি ২৮০ টাকা, লেয়ার ১৯০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা বিক্র করছেন বলে জানান। তবে কয়েকটি দোকানে মূল্যতালিকা দেখা যায়নি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘রমজানে পণ্যের মূল্য নিয়ে কোনো কারসাজি চলবে না। কোনো পণ্যের যাতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে যাতে দাম যাতে না বাড়ায় সেজন্য বিক্রেতাদের সর্তক করেছি। বেগুন, কাঁচা মরিচ ও ছোলার দাম যাতে সহনশীল থাকে সেটাও বলেছি। কেউ যদি আড়ত থেকে কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে তাহলে সামনে থেকে আমরা অ্যাকশনে যাব।’
ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছর রমজান এলেই ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা টাঙানোসহ একই নির্দেশনা দিতে হয়। অথচ পরিবর্তন হয় না। আইনের কঠোর প্রয়োগ করে অতিরিক্ত মুনাফাকারী ব্যবসায়ীদের দুয়েকজনকে অন্তত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা যদি সৎ ও আন্তরিক না হয় তাহলে পাহারা দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। প্রশাসনের উচিত নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা।’
এদিকে, আজ বিকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয় নগরের আরেক বড় বাজার কাজীর দেউড়ি বাজারে। সেখানে বেগুন ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, শসা ৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা, সোনালি ৩১০ টাকা ও লেয়ার ২১০ টাকায় বিক্রি করছিল বিক্রেতারা। এক পর্যায়ে বিক্রেতা মো. সবুরের (৯৫ নম্বর দোকান) দোকানে বেগুনের দামে ক্রয়তালিকা ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে কেজিতে ২০ টাকা তফাত দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশি দাম রাখায় ওই দোকানিকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রিয়াজ উদ্দিন বাজারে ৩০-৩৫ টাকার বেগুন কাজীর দেউড়ি বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার