চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, ‘আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে যানজট নিয়ন্ত্রণ, জাল নোটের সরবরাহ রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা জেলা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। চট্টগ্রামবাসী যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করছি। চট্টগ্রামবাসীকে আমরা এই সুযোগ করে দিতে চাই।’
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদকে সামনে রেখে জননিরাপত্তা বিধান এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে এক গুচ্ছ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে ঈদ জামাতকে ঘিরে যে কোন ধরনের নাশকতা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাশহুদুল কবীর, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বারসহ সিএমপি, র্যাব, কোস্ট গার্ড, বিআইডাব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল সার্জন অফিস, পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতারা।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঈদে বাস, ট্রেন এবং নৌপথে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা যাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারে, যাত্রীরা যাতে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি কিংবা ছিনতাইয়ের শিকার না হন, এ জন্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জেলা প্রশাসন কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত সময়ে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আগে আমরা কোনো শ্রমিক অসন্তোষ দেখতে চাই না। শ্রমিকদের পাওনা নির্ধারিত সময়েই মিটিয়ে দিতে হবে।’
পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, ‘যানজট নিয়ন্ত্রণে ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলো বড় বাধা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই হায়রানির অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে পরিবহন সেক্টরে আমরা ‘দুষ্ট চক্রের’ ভেতরে আছি।’
তিনি বলেন, ‘ঈদকে ঘিরে যানজট এড়াতে সড়কে পুলিশি তল্লাশি সীমিত করা হলেও মাদক নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে তল্লাশি চলবে। নৌ ঘাট, বাস ও রেল স্টেশনে পুলিশের নিয়মিত ফোর্স ছাড়াও মোবাইল টিম কাজ করবে। যে কোন ধরনের সমস্যা হলে যে কেউ ৯৯৯ এবং ৩৩৩ নাম্বারে অভিযোগ করে আমাদের কাছে প্রতিকার চাইতে পারেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বিডি প্রতিদিন/৫ জুন ২০১৮/হিমেল