টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের অনেক নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বৃহত্তম দুই প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং আগ্রাবাদ মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে রোগী, স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে চরম দুঃশ্চিন্তা ভর করেছে। পুরোদমে বৃষ্টি না কমলে অবস্থা আরো বেগতিক হওয়ার শঙ্কাও করছেন তারা।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরকারি এই হাসপাতালে বারান্দাগুলো অনেক বড়। তাই বৃষ্টি পড়লে ছিটকে পড়া পানি বারান্দা দিয়ে ঢুকে যায়। এছাড়া কোনো কোনো ওয়ার্ডে পানি ছাদ চুইয়েও পড়ে। ফলে হাসপাতালের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ফ্লোরে থাকা রোগীদের চরম কষ্ট পোহাতে হয়।
দ্বিতীয়-তৃতীয় তলার একাধিক রোগী বলেন, গত রবিবার রাতে প্রবল বর্ষণে তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ফ্লোরে পানি জমে যায়। এসময় রোগীর স্বজনদের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়।
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘পানি পড়লে ফ্লোরে থাকা রোগীদের ওয়ার্ডের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার হয়তো রাতের বেলায় বৃষ্টির কারণে তাদের ভেতরে নেওয়া হয়নি।’
এদিকে, চট্টগ্রাম নগরের আরেক বেসরকারি বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের নিচ তলায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগীদের। জলাবদ্ধতার কারণে নিচ তলার রোগীদের উপরে স্থানান্তর করা হয়।
মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি এস এম মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘অতিবর্ষণে হাসপাতালের নিচতলায় পানি জমে যায়। ফলে এখানকার বহির্বিভাগে আগত রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়া নিচ তলার প্রায় ৮০ জন রোগীকে দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়। আর হাসপতালের বাইরে এবং আশপাশের সড়কেও কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর সমান পানি উঠে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার