চট্টগ্রামের খুলশীতে বিজিএমইএ ভবনের সামনে সানম্যান গ্রুপের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হরিজন গার্মেন্টের শ্রমিকরা বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করেছে। বুধবার সকাল থেকে বিজিএমইএ ভবনের সামনে ১ হাজার ৩০০ শ্রমিক অবস্থান নেন। কারখানাটির মালিক অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম এ মান্নান।
তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিএমইএ ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় খুলশী থানা।
বিজিএমইএ ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রীষ্মের তীব্র রোদের উত্তাপ উপেক্ষা করে শ্রমিকরা শুয়ে আছেন। তীব্র গরমও তাদের না পাওয়ার কষ্টকে ছুঁতে পারেনি। বরং আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ শ্রমিকরা রোদের মধ্যেও শুয়ে থেকে বেতন আদায়ের দাবিতে অনড় থাকতে দেখা যায়।
গোল্ডেন হরিজন গার্মেন্টের সুপারভাইজার আরিফ খান বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মকর্তা ও মার্চ থেকে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ রয়েছে। ২৭ এপ্রিল রাতে কারখানাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। নোটিশ দিয়ে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল থেকে কারখানা খোলা হবে। সেদিন গিয়ে বন্ধ পায় শ্রমিক-কর্মকর্তারা। পরে আরেকটি নোটিশ দিয়ে বলা হয়, ৬ মে কারখানা খোলা হবে। ৬ মে আমরা যখন কাজে যাই তখন দেখি কারখানায় তালা। সেখানে নোটিশ টাঙানো হয়- কারখানা আর চালু করা হবে না। কোতোয়ালীর মোড়ে কারখানার হেড অফিসে গেলে বকেয়া টাকা দেওয়ার নাম করে ফিন্যান্স ডাইরেক্টর আশরাফসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রাণ তালুকদার বলেন, ‘বকেয়া বেতন, ওভারটাইম মজুরি ও ছাটাইয়ের প্রতিবাদে বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন গোল্ডেন হরিজন গার্মেন্টের শ্রমিকরা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শ্রমিকদের বুঝানো হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার