২০ জুন, ২০১৯ ২২:৪২
চসিক কাউন্সিলরদের মেয়র

ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীদের কাজ শতভাগ আদায়ের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীদের কাজ শতভাগ আদায়ের আহ্বান

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন নগরের ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘ওয়ার্ড পর্যায়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নসহ সব কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত কর্মীদের কাছ থেকে শতভাগ কাজ আদায় করে নিতে হবে। নগরের তৃণমূল পর্যায়ে এ দায়িত্ব কাউন্সিলরদের।’ 

বৃহস্পতিবার চসিকের ৪৭তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি কাউন্সিলরদের প্রতি এ আহবান জানান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামশুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম প্রমুখ। সভা সঞ্চলনা করেন চসিকের সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী।      

সিটি মেয়র বলেন, ‘নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, আলোকায়ন এবং নগর অবকাঠামোগত উন্নয়ন চসিকের মৌলিক কাজ। চসিকের মৌলিক সেবাসমূহ শতভাগ পাওয়ার প্রত্যাশা করে নগরবাসী। এর ব্যত্যয় ঘটলে অভিযোগ আসে চসিক সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে। তাই চসিক প্রদেয় নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের।’    

চসিক মেয়র বলেন, ‘নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ার্ড ভিত্তিক বৈঠক করা হবে। কারণ ওয়ার্ডের সমস্যা আজকের নয়, দীর্ঘদিনের। এগুলো সমাধানের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদেরকে এগিয়ে আসবে হবে। তাই চসিকের করণীয় এবং ওয়ার্ডের সমস্যা চিহ্নিত করে আগামী রবিবারের মধ্যে জমা দিতে হবে। বিশেষ করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ  সার্বিক চিত্র প্রদানের আহবান জানাই।

তিনি বলেন, ‘নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ‘ওয়ার্ড হেলথ কমিটি’ গঠন করা হবে। এই কমিটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, জোনাল মেডিকেল অফিসার, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিনিধি, সমাজের গণ্যমান মহিলা ও পুরুষ এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার থাকবেন। নগর স্বাস্থ্যসেবাকে আরো গতিশীল করাই এ কমিটির মূল লক্ষ্য।’  

মেয়র আরো বলেন, ‘বিগত সময়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগে নগরীর নালা-নর্দমা পরিস্কারক ছিল ১ হাজার ৭৫০ জন। এই স্বল্প সংখ্যক পরিচ্ছন্নকর্মী দিয়ে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অসম্ভব। তাই মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ডোর টু ডোর প্রকল্পের ২ হাজার নতুন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। এর ফলে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সক্ষমতা বেড়েছে।’

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর