পলি হত্যার দায়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ তুলেছে তার স্বজনরা। রবিবার পলি হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে পলির মা বলেন, ‘আমার মেয়ে রেবেকা সুলতানা পলির হত্যার বিচার চাইতে গেলে পুলিশ বলেছে, আমি নাকি পাগল। আমরা গরিব বলে পুলিশকে টাকা দিতে পারিনি, তাই মামলাও নিতে চাইনি।’
গত ২ অক্টোবর বন্দর থানাধীন হালিশহরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে পলির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। পলি হলিশহর আহমদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের (সিটি কর্পোরেশনের স্কুলে) ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
পরিবারের দাবি, পলিকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে তারা যার বাড়িতে ভাড়ায় থাকত সেই বাড়িওয়ালা আবুল কাশেম খান। সকিনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে পলি হত্যার বিচার চাই। আমার নিষ্পাপ মেয়েটিকে আবুল কাশেম ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। পলি কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
তিনি বলেন, আমি গরিব বলে প্রশাসন আমাকে সাহায্য করেনি। পুলিশ প্রশাসন টাকা খেয়ে হত্যাকারীর পক্ষে নিয়েছে। আমি টাকা দিতে পারিনি বলে, বিচার চাইতে গেলে পাগল বলে বের করে দেয়। তিনি এসময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে পলির হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
মানববন্ধনে নগর ছাত্রলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, পলির ময়নাতদন্ত যেন কোনো প্রকার এদিক-সেদিক না হয়। তাহলে ছাত্রজনতা এটি মানবে না। পলির হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেন, ধর্ষণকারীর পক্ষে কেউ যেন আদালতে না লড়ে। কেউ যেন আইনি সহায়তা না দেয়। আর যারা ধর্ষণকারীর পক্ষে নেবে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ধর্ষণকারীর বিচার না হলে থানা ঘেরাও কর্মসূচির দেয়ার হুমকি দেন ফাইট ফর ওমেন রাইটস-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু।
বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, বৌদ্ধ সমিতি মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ববি বড়ুয়া প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার