অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি, সহযোগিতা ত্বরান্বিত ও প্রতিবন্ধকতা কমানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক সমন্বয়কারী ইহসান আফজাল খানের সাক্ষাৎকালে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আলোচনার সময় উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ককে নতুন এক মাত্রায় নিয়ে যেতে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
এ সময় শেখ বশির উদ্দীন বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সীমিত বাণিজ্য সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই সম্প্রসারণের জন্য শ্রম উৎপাদনশীলতা, উপযোগের অনুপাত, লজিস্টিক উৎকর্ষতা, অর্থায়ন ব্যয় এবং বাজারে প্রবেশাধিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে উচ্চ মান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বশিরউদ্দীন উল্লেখ করেন, এই ধরনের পদক্ষেপগুলো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, দেশের সিমেন্ট খাত প্রধানত আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে চুনাপাথর এবং নির্মাণগ্রেড পাথরের ওপর। বাংলাদেশে বার্ষিক পাথরের চাহিদা ৫০ মিলিয়ন টন। এই আমদানি সুবিধা বাড়ানোর জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
এছাড়া, তিনি পাকিস্তানের বাজারে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের প্রতি সাড়া দিয়ে ইহসান আফজল খান পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সীমাবদ্ধতা দূর করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধি করলেই বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো সম্ভব হবে।
সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার।
সূত্র : বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
