পারল না বাংলাদেশ। পারলেন না জাকের আলি, সাইফ হাসানরা। দুবাইয়ে ভারতকে হারানোর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন টাইগাররা, সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ব্যাটারদের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে হেরেছে ৪১ রানে। ভারতকে হারালেই টি-২০ এশিয়া কাপের ফাইনাল! এমন সমীকরণের ম্যাচ জিততে পারেননি জাকেররা। টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে হারলেও অবশ্য ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনাল খেলার স্বপ্ন টিকে আছে টাইগারদের। এশিয়া কাপে চতুর্থবার ফাইনাল খেলতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচ জিতে ভারত ফাইনালে। সূর্যকুমার যাদবরা আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবেন। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৮ রানে আটকে ৪ উইকেটে জিতেছিলেন লিটনরা। ভারতকে ১৬৮ রানে আটকেও জাকের বাহিনী অলআউট হয় ১৯.৩ ওভারে ১২৭ রানে। ভারতের ফিল্ডাররা একাধিক ক্যাচ মিস করেন। সুপার ফোরে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে যায় ৪ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারায় ৫ উইকেটে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দলই ২ ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছে। তবে রানরেটে এগিয়ে পাকিস্তান। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের রানরেট ০.২২৬ ও বাংলাদেশের রানরেট -০.৯৬৯। ফাইনাল খেলতে দুই দলকেই জিততে হবে।
বাংলাদেশের ইনিংসে সাইফ হাসান ও পারভেজ ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ওপেনার সাইফ টানা দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬১ রানের পর গতকাল ভারতের বিপক্ষে করেন ৬৯ রান। ৫১ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা। পারভেজ ২১ রান করেন ১৯ বলে। ১৮ রানের খরচে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সফল বোলার ছিলেন কুলদ্বীপ যাদব। ২টি করে উইকেট নেন জশপ্রীত বুমরাহ ও বরুণ চক্রবর্তী।
ভারতের বিপক্ষে হেভিওয়েট ম্যাচে খেলেননি নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। সোমবার অনুশীলনে পাজরে ব্যথা পান। খেলার মতো ফিট না হওয়ায় কোচ ফিল সিমন্স তাকে বাইরে রেখে একাদশ সাজান। লিটনের অনুপস্থিতিতে টাইগারদের নেতৃত্ব দেন জাকের আলী অনিক। বাংলাদেশের ২০২ নম্বর টি-২০ ম্যাচে ১২ নম্বর অধিনায়ক হিসেবে টস করেন জাকের। অধিনায়কত্বের অভিষেকে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। জাকের বাহিনী খেলেছে একাদশে ৪ পরিবর্তন নিয়ে। লিটনের পরিবর্তে খেলেন বাঁ-হাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন প্রথমবার খেলেন পেসার শরিফুল ইসলামের বদলে। রোটেশন পলিসির জন্য খেলেননি তাসকিন আহমেদ। ডান হাতি পেসার মাত্র এক উইকেট পেলেই বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে ১০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লিখতেন তিনি। ৮১ ম্যাচে তার উইকেট ৯৯টি। তার জায়গায় খেলেছেন তানজিম সাকিব। শেখ মেহেদির জায়গায় ফেরেন লেগ স্পিনার রিশাদ খান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৭২ রান তুললেও টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টেনে নিয়ে যান তৃতীয় ওভারে জীবন পাওয়া ম্যাচসেরা অভিষেক শর্মা। ১২তম ওভারের প্রথম বলে রান আউট হওয়ার আগে ওপেনার অভিষেক ৭৫ রান করেন ৩৭ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায়। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া ৩৮ রান করেন ২৯ বলে। ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে আউট করে টি-২০ ক্রিকেটে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক গড়েন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে তিনি এই বিরল কীর্তি গড়েন। তিনি টপকে যান সাকিব আল হাসানকে। সাকিবের উইকেট ১২৯ ম্যাচে ১৪৯, মুস্তাফিজের উইকেট ১১৮ ম্যাচে ১৫০টি। টি-২০ ক্রিকেটে ১০৩ ম্যাচে ১৭৩ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আফগানিস্তানের রশিদ খান। দুইয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির উইকেট ১২৬ ম্যাচে ১৬৪টি। তারই স্বদেশি ইশ সোধির ১২৬ ম্যাচে ১৫০ উইকেট।