এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আজ এক রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। কার্যত এটি হয়ে উঠেছে অঘোষিত সেমিফাইনাল। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
টানা ম্যাচ খেলার ধকল সামলে মাঠে নামতে হচ্ছে টাইগারদের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে নামতে হচ্ছে সাকিব-তামিমদের। লক্ষ্য একটাই ফাইনাল নিশ্চিত করা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিসংখ্যান অতীতের মতো সহজ নয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ২৫ বারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ৫টিতে। এশিয়া কাপে দুই দলের ১৫ দেখায় জয় এসেছে কেবল ২ বার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলছে। ২০২৪ সালের পর থেকে সব ফরম্যাট মিলিয়ে দুই দলের ৮ ম্যাচে জয়-হার সমান ৪টি করে। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ও টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
সেই বাস্তবতা মানছেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ভালো দল। তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। একটুও ছাড় দেওয়া যাবে না। আমাদের তিন বিভাগেই (ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং) ভালো করতে হবে। শুরুর ধাক্কাটা দিতে পারলেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ থাকবে আমাদের হাতে।”
তবে নিজে এখন সেরা ছন্দে নেই শাহিন। নতুন বলে উইকেট এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, হারিয়েছেন আগের সেই ভয়ংকর ভাবমূর্তি। তবুও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না এই বাঁহাতি পেসার।
তিনি বলেন, “আপনি আমাকে বাদ দিতে চান? আমি পাকিস্তানের জন্য জীবন দিতেও রাজি। হারিসের কথা বলছেন, সে তো বাংলাদেশের বিপক্ষে লাহোরে সেঞ্চুরি করেছিল। সাইমও বোলিংয়ে অবদান রাখছে। ব্যাটিংয়ে সময় লাগতেই পারে।”
অন্যদিকে, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে ছন্দে ফিরেছে বাংলাদেশ। তবে আজকের ম্যাচে থাকবে বড় একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন লিটন দাসের ফিটনেস। ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে খেলতে না পারা টাইগার অধিনায়ককে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।
দুই দলের জন্যই এই ম্যাচ বাঁচা-মরার লড়াই। কারণ হার মানেই কার্যত এশিয়া কাপ থেকে বিদায়।
বিডি প্রতিদিন/মুসা