ট্রেনের চালকের দক্ষতায় গাইবান্ধায় চলন্ত ট্রেনের হুকে আটকে যাওয়া নারীর প্রাণ রক্ষা পেলো। হুকের সাথে আটকে প্রায় ৫ মিনিট যাওয়ার পর ট্রেন থামাতে পারেন চালক। ও নারীকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এ ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওইদিন সন্ধ্যার পর ওই নারীর ট্রেনে ঝুলে যাওয়ার ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটির সহকারী চালক শরিফুল ইসলাম জানান, ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাইবান্ধা স্টেশন ছাড়ার পর ওই নারী ট্রেনের সামনে লাফিয়ে পড়েন এবং সজোরে তিনি (চালক) ধাক্কার শব্দ শুনতে পান।
এভাবে প্রায় দুই থেকে তিন মিনিট চলার পরও তিনি সামনে তাকিয়ে দেখেন ইঞ্জিনের হুকের সাথে ওই নারী আটকে আছেন। তাৎক্ষনিক ট্রেন চালক লিটন মিয়া ও সহকারী চালক শরিফুল ইসলাম ট্রেনটি থামানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং ফাঁকা জায়গায় ট্রেনটি থামিয়ে ওই নারীকে স্থানীয়দের সহায়তায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে নিরাপদে ট্রেনটি ছাড়েন।
শরিফুল ইসলাম বলেন, সাধারণত ট্রেনে কেউ কাটা পড়লে ট্রেন হালকা ঝাঁকুনি দেয় এবং শব্দসহ অন্য রকম গন্ধ পাওয়া যায়। মেয়েটি ট্রেনের সামনে ঝাপিয়ে পড়ার পর কোনোটিই না হওয়ায় তাদের সন্দেহ হলে তিনি সামনে তাকিয়ে ওই নারীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তখন কোনো কিছু চিন্তা না করে দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেন এবং মেয়েটিকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করেন।
তাৎক্ষনিক পরিবার ওই নারীকে বাসায় নিয়ে যাওয়ায় তার নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে বয়স ৩০ বছরের মধ্যে হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল