লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উত্তর মজুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সুমন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষক ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, কয়েক বছর ধরে সুমন নিয়মিত নেশা করে আসছে। প্রায়ই শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করে এবং কারণে-অকারণে লোকজনকে মারধর করে। বুধবার কোনো কারণ ছাড়াই বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। সুমন উত্তর মজুপুর এলাকার গনি মিয়া মেস্তুরি বাড়ির ফয়েজ আহম্মেদের ছেলে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে দুপুরে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আটক সুমনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাকালে পাঠদান চলছিল। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সুমন বিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে লাইব্রেরিতে গিয়ে অশালীন আচরণ করে এবং শিক্ষক শারমিন আক্তার, সেতারা পারভিন ও শিক্ষার্থী রেদোয়ান হাসান রুপম, মো. ইয়াছিন, অনুশ্রী রানী দাসসহ অন্তত ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে সুমনকে আটক করে। আহতরা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বলেন, মাদকাসক্ত এক যুবক হঠাৎ এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরও আক্রমণ করে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি ইউএনওকেও জানানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ জানান, আটক যুবক মাদকাসক্ত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এ হামলা চালানো হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ