পেশাদার ফুটবলে অত্যাধুনিক জিম খুবই জরুরি, যা বাংলাদেশে ভাবাই যেত না। ফুটবলারদের কাছে তা ছিল স্বপ্ন। তপু বর্মণ, তারিক কাজী, রাকিবদের সেই স্বপ্ন পূরণ করল বসুন্ধরা কিংস। আয়তন ও আভিজাত্য সব মিলেয়ে এশিয়ার অন্যতম সেরা বসুন্ধরা গোল্ডস জিমে কিংসের ফুটবলাররা ম্যাচের আগে ও পরে রিকভারির কাজটা ভালোমতোই সেরে ফেরতে পারবেন। যার যাত্রা গতকালই হলো। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে। তারা ফুটবলারদের এমন আধুনিক জিমে রিকভারির কাজের ব্যবস্থা করেছেন। আমার বিশ্বাস শুধু বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা নন, জাতীয় দলও এ থেকে উপকৃত হবে। কেননা কিংসের অধিকাংশ ফুটবলারই জাতীয় দলে খেলে থাকেন।’ জিম সরঞ্জাম ছাড়াও এখানে কার্ডিও সেশন সেন্টার, ক্রাইথেরাপি, কোল্ড প্লাঞ্জ, জাকুজিপুল, হিমালয়ান সল্ট বাথ, সুইমিং পুল রয়েছে। তাই তো অল্প দিনের মধ্যে গোল্ডস জিম এশিয়ার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার ও বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক তপু বর্মণ বলেন, ‘জিম দেখে আমরা অভিভূত। বাংলাদেশে এমন জিম ভাবাই যায় না। এমনটা আমাদের খুবই দরকার ছিল। জিম সুবিধার পাশাপাশি এখানে রিকভারি করার সুযোগটা থাকছে।’ বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলের ফুটবলার ডরিয়েলটন বলেন, ‘এমন সুন্দর জিম দেখে আমি অবাক।’ ইতালির বিখ্যাত কোম্পানি টেকনোজিম থেকে আনা হয়েছে গোল্ডস জিমের যাবতীয় সরঞ্জাম।
হালকা চোটও কখনো কখনো খেলোয়াড়দের মাঠের বাইরে ঠেলে দেয়। ঠিকভাবে রিকভারি করা না হলে অনেকের ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যায়। গোল্ডস জিম এখন খেলোয়াড়দের টেনশন থেকে মুক্ত রাখবে।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ইনচার্জ মেজর মহসিনুল করিম বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি কিংসের খেলোয়াড়রা এ জিমের সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রহণ করুক এবং মাঠে সেরা ফুটবল খেলুক। যারা খেলতে গিয়ে ইনজুরির শিকার হন তারা এখানে রিকভারি করার অত্যাধুনিক সুবিধাটা পাবেন। আমার বিশ্বাস সুবিধাগুলো পেলে খেলোয়াড়রা ফিট থাকবেন এবং মাঠে ভালো খেলা উপহার দিতে পারবেন।’