কুমিল্লা জেলায় প্রথমবারের মতো কৃষির মাঠ কর্মকর্তাদের সম্মাননা দেয়া হয়। এতে খুশি ওই কর্মকর্তারা। এতে কাজের গতি আরো বাড়বে বলে তারা মনে করেন। এদিকে কর্মকর্তারা বলেন- মাঠ কর্মকর্তাদের কাজে গতি আসলে উপকৃত হবে বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি বিভাগ। দক্ষ মাঠ কর্মকর্তাদের মূল্যায়নকে ইতিবাচক প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেন সচেতন কৃষকরা। সম্প্রতি কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১০ জন উপসহকারী কর্মকর্তাকে এই সম্মাননা প্রদান করে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা, সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে প্রথম দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ব্লকের রফিকুল ইসলাম। তিনি নতুন জাতের ধানের সম্প্রসারণসহ কৃষি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন। গ্রামে মৌচাষি সৃষ্টি করেছেন। মৌচাষি এমদাদুল হককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। এসময় তার নিকট আসেন আরো কয়েকজন চাষি। তারা চান বড় জাতের কুমড়ার বীজ। তিনি বীজের উৎস সম্পর্কে তাদের ধারণা দেন।
২য় হয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কালির বাজার ব্লকের সাহিদা খাতুন। তিনি কালির বাজার এলাকায় কৃষককে জমির পোকা দমনে ঝাটা পুতে দেয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া লাউয়ের জমি ও হলুদের জমি পরিচর্যায় পরামর্শ দেন। তিনি সেখানে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছেন।
৩য় হয়েছেন বুড়িচং উপজেলার নিমসার বøকের ফারুক আহমেদ ভুইয়া। তিনি কোরপাই গ্রামের মোবারক হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যতিক্রম ফসলের উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছেন। অন্য মাঠ কর্মকর্তারা হলেন,মোসাম্মদ আমেনা খাতুন,মোহাম্মদ ওমর ফারুক,মোসা.সুলতানা ইয়াসমিন,নাঈমা হক আঁখি,মোসাম্মদ ফারহানা আক্তার,মরিয়মের নেছা ও মো. কামরুল হাসান।
ইউসুফপুর এলাকার কৃষক এমদাদুল হক বলেন, উপসহকারী রফিকুল ইসলামের পরামর্শে তার জীবনের গতিপথ পাল্টে গেছে। তিনি প্রবাসে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু মৌচাষ, ধান চাষ,সবজি চাষ,হার্ভেস্টার মেশিন পরিচালানা,গরু পালনসহ বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে তিনি এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। তার মাসিক আয় লাখ টাকার কাছাকাছি।
কালির বাজার এলাকার কৃষক আবু বকর শিবলী বলেন, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে তিনি বসে ছিলেন। সাহিদা খাতুনের পরামর্শ নিয়ে তিনি বিভিন্ন ফসলের চাষ শুরু করেন। তিনি এখন স্বাবলম্বী কৃষক।
রফিকুল ইসলাম ও সাহিদা খাতুন বলেন, প্রথমবারের মতো তাদেরকে সম্মাননা দেয়ায় জেলা কৃষি সম্পসারণ বিভাগকে তারা ধন্যবাদ জানান। এতে কাজের গতি আরো বাড়বে বলে তারা মনে করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, মাঠ কর্মকর্তারা কৃষকদের নিকট কৃষি বিভাগের মেসেজ পৌঁছে দেন। তাদের মূল্যায়ন করতে করলে কুমিল্লা কৃষি বিভাগ এগিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন। তাই ১০ জনকে সম্মাননা দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম