চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় স্থানীয় ‘চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী’ হিসেবে খ্যাত যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম (৪৫) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি ওয়ান শ্যুটারগান ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত খোরশেদ আলম আগ্রাবাদের পাঠানটুলী এলাকার শফিক আহমেদের ছেলে। খোরশেদ পাঠানটুলী ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
রবিবার রাতে ডবলমুড়িং থানার আগ্রাবাদ এলাকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পাশে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান।
তিনি বলেন, অস্ত্র নিয়ে খোরশেদ আলম ও তার সহযোগীদের অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালানো হয়। পরে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে খোরশেদ। র্যাবও পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুরশীদের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদকসহ আটটি মামলা আছে। সদরঘাট এলাকায় যুবলীগকর্মী আব্দুল মান্নান ওরফে কানা মান্নান হত্যা মামলার আসামি খুরশীদ।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতারা জানান, পাঠানটুলী ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি খুরশীদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের অনুসারী ছিলেন। সম্প্রতি কাদেরের সঙ্গে দূরত্ব হয় খুরশীদের। তবে খুরশীদ ওয়ার্ড যুবলীগের সঙ্গে থাকলেও যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের টেন্ডারবাজিসহ নানা অনিয়ম ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নানা কৌশলে হুমকি দিয়ে আসছেন এমন ছাত্রলীগ, যুবলীগ নামধারী নেতা-কর্মীদেরও নামের তালিকা করছেন গোয়েন্দা সংস্থা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল