চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের দরিদ্র ও হতদরিদ্র ৪১ হাজার পরিবারকে দেওয়া হবে মেয়র হেলথ কার্ড। প্রতি ওয়ার্ড থেকে এক হাজার পরিবারকে দেওয়া এ কার্ডের মাধ্যমে তারা স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে চালু হবে এ সেবা। একই সঙ্গে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য চালু করা হবে ‘ওল্ড এজ হোম’।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেবি আব্দুস ছত্তার মিলনায়তনে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের চার বছরের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ ঘোষণা দেন।
চসিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন আহমদ, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী ও মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাসেম প্রমুখ।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু পরবর্তী মেয়রের আমলে তা কিছুটা দুর্নামে পরিণত হয়। আমি গ্রহণের পর থেকে সুনাম পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করি। ফলে বর্তমানে ক্রমে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে।’
মেয়র বলেন, ‘প্রতিবছর লক্ষাধিক নগরবাসীকে সুলভ এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে চসিক। দায়িত্ব নেওয়ার ৪ বছর ৩ মাস সময় অতিক্রম করেছি। নগরে ১৪ লাখ ৪০ হাজার দরিদ্র বা হতদরিদ্র মানুষ আছেন। ৩০ টাকা থেকে ফি কমিয়ে ১০ টাকা করেছি। তাছাড়া চসিক জেনারেল জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ, ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে এনআইসিইউ চালুর পরিকল্পনা আছে।’
তিনি বলেন, ‘চসিক স্বাস্থ্য বিভাগে ১ হাজার ৫২ জন কর্মর আছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক ১৩৪ জন, হোমিও চিকিৎসক ২৭ জন, ৮১ জন নার্স, ৮৩ জন ফার্মাসিস্ট, ১২২ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক। ৪টি মাতৃসদন হাসপাতালে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সেবা নিয়েছিলেন ৪৯ হাজার ১২৩ জন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৪ হাজার ৫৫৫ জন। স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে চসিক।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার