১৮ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:২৭
পীর হাবিব ও শাবান মাহমুদকে নিয়ে মিথ্যাচার : চট্টগ্রামে মানববন্ধন-সমাবেশ

সরকারকে পঙ্গু করতেই সাংবাদিকদের চরিত্র হনন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সরকারকে পঙ্গু করতেই সাংবাদিকদের চরিত্র হনন

সাংবাদিকদের চরিত্র হনন সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়ার অপচেষ্টা। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত করার প্রবণতা মূলত উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির যাত্রাকে ব্যাহত করারই ষড়যন্ত্র। সরকারের চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে ম্লান করতে পরিকল্পিতভাবে ক্যাসিনোর কালো টাকার মালিক সন্ত্রাস ও মৌলবাদের দোসররাই দেশে ও দেশের বাইরে থেকে গণমাধ্যমকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যমন্ত্রী, বিআরটিসিসহ দায়িত্বশীলদের শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে চট্টগ্রামের নাগরিক সমাবেশ থেকে।

প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার বিকেলে এ মানববন্ধন সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সমবেত হয়ে বিশিষ্ট কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান ও বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে লাগামহীন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

এই সমাবেশে একাত্মতা জানিয়ে এক বার্তায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনও সাংবাদিক পীর হাবিব-শাবান মাহমুদসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জানান।

চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ সভাপতি প্রফেসর ডাক্তার একিউএম সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধা পরিবেশবিদ প্রফেসর মো. ইদ্রিস আলী, বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, চসিক কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা খাইরুল ইসলাম কক্সি, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান, অধ্যাপক শিক্ষক নেতা শিবপ্রসাদ, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ, পেশাজীবী নেতা অ্যাডভোকেট মহিবুল্লাহ চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক শেখর ত্রিপাঠী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেদা আক্তার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সাবেক কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ পাটোয়ারী, সিইউজে নেতা মোহাম্মদ আলী পাশা, সিইউজে সদস্য তরুণ গবেষক মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, তরুণ সাংবাদিক সংগঠক মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, মাহমুদুর রহমান শাওন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ইয়াসির আরাফাত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, তরুণ লেখক ওমর ফারুক চৌধুরী জীবন, চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট মহিবুল ইসলাম সোহেল, অ্যাডভোকেট টিপু শীল জয়দেব, যুব পরিষদ সভাপতি আবু তাহের রানা, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিনুর রহমান সজিব রিদুয়ানুল কবির, উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক মুনীর চৌধুরী, উপ সম্পাদক নাসির উদ্দিন কুতুবী, মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠক জনি বড়ুয়া, বাউবি'র নুরজাহান আক্তার কলি, দেশচিন্তা'র ইমরান সোহেল, ছাত্র নেতা হুমায়ুন কবির আজাদ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম বাকলিযয়া সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম জিয়া, সহ-সভাপতি রিদওয়ানুল হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম মোহাইমিনুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্না ও  ছাত্রসংসদের ভিপি ইনজামাম আতিক, জিএস আব্দুর রাজ্জাক শুভ, এজিএস টিপু দত্ত ও বাকলিয়া শহীদ এন এম জে কলেজ ছাত্র প্রতিনিধি মো. ইউনুস, ছাত্রনেতা এম আই হোসেন সাহিদ, আরিফ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক আশিক আরেফিন, ফয়েজ আহমেদ, ইমরান প্রমুখ।

মানববন্ধন সমাবেশটির সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মূলত গণমাধ্যমে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র।

চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ এই ন্যাক্কারজনক প্রবণতার তীব্র নিন্দা জানায়। সাংবাদিকরা যাতে উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে না পারেন, সে জন্যই ষড়যন্ত্রমূলক এই অপপ্রচার হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিতে অনৈক্য সৃষ্টির এটি চক্রান্ত।

বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, সকল সূচকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে আশানুরূপ অর্জন তাতে সাংবাদিক, কলামিস্ট, গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়ক ভূমিকা রয়েছে। সাংবাদিকদের সাথে যাতে সরকারের দূরত্ব তৈরি হয় সেজন্যই ষড়যন্ত্রকারীরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছেন।

তাই বক্তারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর