চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন বলিরহাট বড় কবরস্থান এলাকায় নিজ বাসায় স্বামীর হাতে খুন হন জোসনা বেগম লিজা (৪২)। পারিবারিক কলহের জেরে গত বুধবার সকালে তাকে খুন করেন অভিযুক্ত স্বামী মো. মুছা (৫০)। এরপর থেকেই তিনি পলাতক।
বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর লালদিঘীর পাড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত মুছাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মো. মুছা পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা জামালপাড়ার কবির শেরাং এর ছেলে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে ঢাকায় গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করে। ছোট ছেলে ও মেয়ে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। এ ঘটনায় জ্যোৎস্নার মেয়ে নিশো আক্তার বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১০ সালে পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় রাস্তার ওপর ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন রেলওয়ে কর্মকর্তা আব্দুল হাই মজুমদার। মুছা ওই মামলার আসামি। ওই মামলায় ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জামিনে ছাড়া পান।
সিএমপির সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মুছা। তাকে ধরতে ছদ্মবেশে সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী বেশে ঘুরেছি। শেষ পর্যন্ত তাকে ধরতে পেরেছি। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তার বক্তব্য আমরা যাচাই করে জানতে পেরেছি- বুধবার সকালে স্ত্রীকে শীল দিয়ে আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।’
বাকলিয়া থানা ওসি নেমাজ উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে মুছা শীল দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। এ সময় বাসায় থাকা তার পাঁচ বছর বয়েসী নাতনি সেটি দেখে ফেলায় তাকে বাথরুমে নিয়ে আটকে রাখে মুছা। মুছা শীলটি খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মোবাইলটি রিয়াজউদ্দিন বাজারে একজনের কাছে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। মোবাইল বিক্রির টাকায় সে শহর ছেড়ে পালানো চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি। পরে মুছাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে বিক্রি করা মোবাইল ফোন এবং বাসায় খাটের নিচ থেকে শীলটি উদ্ধার করা হয়।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল