করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্য পাইকারি বাজারে বেশি দামে বিক্রয় করছেন- এমন অভিযোগ তুলেছেন ক্যাব নেতারা। ক্ষমতাধর এসব ব্যবসায়ীরা মানছেন না প্রশাসনের নির্দেশনাও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযানের পরও এখনও পর্যন্ত আদার দামসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কমছেনা। ধীরে ধীরেই এসব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তবে আদাসহ বিভিন্ন দাম নিয়ন্ত্রণে না রাখা এবং না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার একটি বিবৃতিও দিয়েছেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র নেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আদার বেপারীদের লঘু শাস্তি দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। কয়েকজন আমদানিকারক ৮০-৯০ টাকায় আদা আমদানি করলেও কারসাজির মাধ্যমে খুচরা বাজারে ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রির সংবাদে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাৎক্ষণিক অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ক্যাব।
ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, অভিযুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লঘু দন্ডের কারণে বারবার এসব মূল্য দিতে হচ্ছে। করোনা মহামারীর এ মহাদুর্যোগকালকে কোনো ভাবেই আমলে না নিয়ে তাদের সেই পুরনো খেলায় মত্ত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এখন আর ৫-১০ হাজার টাকা জরিমার মতো লঘু দন্ড বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে দোকান বন্ধ, জেল-হাজত, লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, সবজির মতো পচনশীল পণ্যের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার নামে অবৈধ ব্যবসা করে আসছেন। যেখানে পণ্য কেনাবেচার রশিদ ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়লে ক্রয় রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হন। এ অবৈধ ব্যবসার কারণে সংকটকালে পণ্যমূল্যের বাজার বারবার অস্থির করে তোলে এই চক্র। তবে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদফতরের অভিযানে বারবার এরা চিহ্নিত হলেও কিছু ব্যবসায়ী নেতার চাপে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির নজির নেই। যার খেসারত সাধারণ ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন ছাড়াও বিবৃতিদাতারা হলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, নগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার