চট্টগ্রামে করোনভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় জট কমাতে তিন হাজার নমুনা পাঠানো হয় ঢাকা শেরে-বাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরি মেডিসিন হাসপাতালের ল্যাবে। আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগর ও ১৪ উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের নমুনা জট কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানা যায়। চট্টগ্রামে প্রথম নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় ২৬ মার্চ।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাব, চমেক ল্যাব ও সিভাসু ল্যাব। এ তিনটি ল্যাবে আছে ছয়টি আরটি-পিসিআর মেশিন। প্রতিদিনই ল্যাবগুলোতে জমা পড়ছে ৭০০ থেকে ৮০০ নমুনা। তিনটি ল্যাবেই দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০০ নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা আছে। ফলে ল্যাবে জমছে নমুনা। তাছাড়া নমুনা প্রদানে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেতে হচ্ছে রোগীদের।
প্রথমদিকে বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও জনবল সংকটে তা বন্ধ করা হয়। এখন জেনারেল হাসপাতাল, চমেক ও বিআইটিআইডি ল্যাবে গিয়ে নমুনা জমা দিতে হয়। কিন্তু এ তিন স্থানেই প্রচুর ভিড়। ফলে নমুনা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বিআইটিআইডি ও চমেক ল্যাবে প্রায় তিন হাজার নমুনা জমে আছে। তাই নমুনা জট কমাতে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরি মেডিসিন হাসপাতালে এ নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে নমুনা জট কমবে। সন্দেহভাজন রোগীরা তাড়াতাড়ি নমুনা পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।
জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ২৮০। এর মধ্যে মহানগরে ২ হাজার ৯৯৪ জন এবং উপজেলায় ১ হাজার ১৭৩ জন। ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১০০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণে উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগীরা নমুনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভিড় করছে।
কিন্তু তিনটি ল্যাবে নমুনা জট লেগে থাকার কারণে সাত থেকে ১০ দিন পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে রিপোর্ট পেতে। ফলে সংগ্রহ করা নমুনা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাছাড়া শনাক্ত না হওয়ায় চট্টগ্রামে গণহারে সংক্রমণ বাড়ছে। অনেকে রিপোর্ট পাওয়ার আগেই উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন। আবার মৃত্যুর পর রিপোর্টে পজেটিভ আসছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ