চট্টগ্রামের সীতকুন্ডের কুমিরা এলাকায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জামায়াত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলামসহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর আদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের অন্য নেতারা হলেন- অধ্যাপক আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব রহমান, ড. কাওসার, মো. শফিকুল আলম ও নিজাম উদ্দিন। তারা সকলেই আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আ ন ম শামসুল ইসলামসহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। হাইকোর্ট আসামিদের নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে। পরে আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আ ন ম শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক আহসান উল্লাহ ভূঁইয়াসহ ৬ ব্যক্তিকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে জাতির জনকের ছবি ভাংচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলা আদালতের অতিরিক্ত পিপি ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দীন বাদি হয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। অনুমতি পেলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম চলবে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ওই ক্যাম্পাসে গিয়ে ছবি ভাঙচুরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার