ভারত থেকে হঠাৎ পিঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখনো দাম নিয়ে অস্থিরতা চলছে দেশের অন্যতম পাইকারি ও খুচরা বাজার খাতুনগঞ্জ। বুধবার সকালে এখানে পিঁয়াজের দাম উর্ধমুখী থাকলেও বিকালে আবার নিম্নমুখী হয়ে যায়। তবে সোমবার-মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার কেজি প্রতি পাইকারি দামে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে এখানে।
সোমবার পিঁয়াজের কয়েকটি ট্রাক এলেও মঙ্গলবার কোনো পিঁয়াজ আসেনি। আগের মজুদকৃত পিঁয়াজ বিক্রি করলেও তারা দাম নিচ্ছেন চড়া। আজ দুপুর পর্যন্ত চাকতাই-খাতুনগঞ্জে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দামে বিক্রি হয়েছে পিঁয়াজ। তবে দুপুরে দাম কিছুটা কমে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ৩৫০ থেকে ৪০০টি পিঁয়াজ বোঝাই ট্রাক রয়েছে। এসব ট্রাকে প্রতিটিতে ১৪ টন করে পিঁয়াজ রয়েছে। এসব পিঁয়াজ সীমান্ত অতিক্রম করলেই পাইকারি বাজারে ৪৫ টাকায় নেমে আসবে বলে মনে করছের সংশ্লিষ্টরা।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার রিতাপ উদ্দিন বাবু জানান, সীমান্তে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষমান ভারতীয় পিঁয়াজবোঝাই ট্রাকগুলো ঢুকলেই দাম নেমে যাবে। আর এসব পিঁয়াজ শেষ হওয়ার আগেই ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার ও চীন থেকে আমদানির জন্য সেসব এলসি খুলেছেন সেগুলো বাজারে চলে আসবে। ফলে পিঁয়াজ নিয়ে দীর্ঘ সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার