নিজেদের কনটেইনারের সঙ্গে ডেলিভারির সময় অন্য একটি কনটেইনার চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লো এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। তবে কনটেইনারের পণ্য চুরির এই অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই এজেন্টের একজন জেটি সরকারকে আটক করেছে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এনসিটির ডেলিভারি এলাকায় গাড়ি তল্লাশিকালে বন্দরের নিরাপত্তা-কর্মীরা দুইটি খালি গাড়ির গেইটপাস তদারকির সময় দেখতে পান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে গাড়িগুলোর গেইট পাস ইস্যু হয়েছে।
কিন্তু গাড়িগুলো যে কনটেইনারের পণ্য লোড করার জন্য বন্দরের ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে সে পণ্যগুলো ওই সিঅ্যান্ডএফের অ্যাসাইনমেন্টভুক্ত নয়। তাই কাভার্ডভ্যান দুইটি এবং কনটেইনারটি আটক করা হয়। এর সঙ্গে খান এন্টারপ্রাইজের জেটি সরকার মো. গোলাম ফারুক খানকেও আটক করা হয়।
জানা গেছে, ফেব্রিক্স ভর্তি কনটেইনারটি ২৪ সেপ্টেম্বর ডেলিভারির জন্য (সিরিয়াল -১৩, সিসিটি ইয়ার্ড) প্রকৃত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট দ্রুত ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে অ্যাসাইনমেন্টভুক্ত ছিল। খান এন্টারপ্রাইজ নিজেদের বেবি ডায়াপার ভর্তি তিন কনটেইনার পণ্য এনসিটি ইয়ার্ডের ডেলিভারি অ্যাসাইনমেন্টভুক্ত ছিল। এই সুযোগে ৯টি খালি কাভার্ডভ্যানের পাস নিয়ে বন্দরে যায়। মূলত তাদের ৭টি গাড়িতেই তাদের আমদানি পণ্য খালাস সম্ভব ছিল। অন্য দুটি গাড়িতে করে তারা ফেব্রিক্সভর্তি কনটেইনারটির পণ্য চুরির আয়োজন করেছিল।
এ প্রসঙ্গে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, এই অভিনব কৌশলে একজনের পণ্য অন্যজন নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আটক জেটি সরকারকে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এতে আসল তথ্য পাওয়া যাবে। এর পেছনে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে সবকিছু বেরিয়ে আসলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর